Love Poems

মনটা আমার ভালো লাগে
দেখলে তোমার হাসি ..
বলতে আমার ভালো লাগে
তোমায় ভালবাসি ..
গাইতে আমার ভালো লাগে
তোমার সাথে গান ..
দেখতে আমার ভালো লাগে
তোমার অভিমান ............

বদলে গেছো তুমি, 

বদলে গেছে মন!

নেই তুমি আর আগের মতন,

 ও বন্ধু

             তোকে Miss করছি ভীষন.........

হয় তো আমি ভেবেছিলাম

তুমি আমার হবে

তাই তোমাকে ভালবেসে

ছিলাম সেটাই

আমার জীবনে সবচেয়ে

বড় ভুল কিন্তু

তোমাকে ভাল না বাসলে

আমি ভালবাসার

কষ্টটাই অনুভব করতে পারতাম না !

তবুও তোমার জীবনকে অভিশাপ্ত

করবোনা কারণ

আমি আজও তোমায় ভালবাসি

আমার সুখটুকু

কেঁড়ে নিয়েছ কিন্তু আমার

মনে লুকানো ভালবাসা গুলো

তুমি নিতে পারনি এটাই

যে আমার বেঁচে থাকার সম্ভল...!!

কথা হবে সেদিন,

         বন্ধু হবে যেদিন! 

 দুঃখ পাবো সেদিন,        

         ভুল বুঝবে যেদিন!

কষ্ট পাবো সেদিন,        

                    ভুলে যাবে যেদিন!

 ভুলে যাবো সেদিন,          

         মরে যাবো যেদিন!

হারিয়ে গেছে অনেক কিছু

সকাল থেকে রাত

হারিয়ে গেছে পাশাপাশি

আকঁড়ে ধরা হাত

হারিয়ে গেছে প্রথম প্রেমে

টুকরো হওয়া মন

চলতে চলতে হারিয়ে গেছে

বন্ধু কতজন ;

হৃদয়

♥♥♥এ হৃদয় করে তোর সাধনা,

এ মনে শুধু তোর ভাবনা ।

যাবি যদি হৃদয় ছেড়ে,

মন আকাশের একটু দূরে,

তোর প্রেম তো মুছে যাবেনা ।

স্বপ্ন দেখার আকাশ হবি,

তুই তো আমার মনের কবি ।

তোর ছোঁয়া ভোলা যাবেনা,

এ হৃদয় করে তোর সাধনা,

এ মনে শুধু তোর ভাবনা ।♥♥♥

নীরব নিস্তব্ধ এই রাতে,

আমি জেগে আছি

ঐ জোনাকির সাথে ...

দেখছি আমি ঐ

দূর আকাশের চাঁদ ,

এই ভাবে কেটে যায় আমার

স্বপ্নহীন রাত ..........................................

ভালবাস যারে ,

পর করো না তারে ...

ভালবাস যারে ,

আপন করে রাখো তারে ...

ভুল করে কখনো

ভুলে যেও না তারে ,

মনের ভিতর রাখো তারে যতন করে ...............

জীবনে প্রথম একজন

আমাকে খুব ভালবেসে ফেলেছে ..

সে নাকি আমাকে ছেড়ে যাবে না ..

আমি ছাড়া সে নাকি মূল্যহীন ..

আমাকে ছাড়া সে অর্থহীন ..

আর সে হল " কষ্ট " .....................................

দুরন্ত স্বপ্ন

দুরন্ত শৈশবে যখন দেখেছি ঝড়ের উদ্দাম নৃত্য

আমিও স্বপ্ন এঁকেছি একদিন হবো মাতন্ড

অবিনাশী সুরে বাঁজাবো প্রেমের অগ্নিবীণা

শতাব্দী ভেঙ্গে এগিয়ে যাবো শতাব্দীর পথে

অবারিত প্রেম যেখানে খেলবে গোল্লাছুট

কানামাছি-দাঁড়িয়াবাঁধা আমি করেছি অস্বীকার

জীবনের পথ হবে গতির সীমানা পেরিয়ে অসীম

অযুত-লক্ষ-নিযুত-কোটি স্বপ্ন যেখানে দুরত্ব অশ্ব

বিহঙ্গ কলকাকলি মুখরিত হবে জীবনের ক্যানভাস

এমন স্বপ্নে বেঁধেছি আমি আমার বক্ষ পিঞ্জর

হারানোর মাঝে প্রান্তি আমার হারানোর কিছু নাই

দ্বিতীয় জীবন

আমার অস্তিত্ব; ভিতর-বাহির জেগে উঠে বারবার
রক্তের মাঝে জীবনের মাঝে মৃত্যুর বিবসন নৃত্যে
তীব্র আর্তনাদ; কান্নার কলরোল; ভীমরণে যোদ্ধা
তাড়নার স্বপ্ননীল বসনার পিরান পড়ে সাজি রণবীর
আত্মার আত্মহুতি দেই সতীত্বের বন্ধনে জীবন ছন্দে
বসন্ত সমীপা জীবনের ক্ষীণ আয়ু লুটাই ধরার পড়ে
জাগতিক বাসনার ভিত নাড়ির স্পন্দনে জাগাই নিত্য
সত্য বন্ধনে ভাবি কালসাপ রূপী মোহ নিদ্রার ভিত
স্ত্রতা ধরণী কাঁদো কাঁদো চোখে আঁচলী আদরে বাঁধে
দ্বিতীয় স্বপ্ন; দ্বিতীয় মৃত্যু; দ্বিতীয় জীবন................

নিদ্রিত প্রাণ

যখন সন্ধ্যা হলো; শব্দহীন তরঙ্গের বসতি
আক্রোশে ফেটে পড়ে জীবন নিঘাদ তিয়াশা
বুকের জমিনে বিভুসিয়ারের অগ্ন্যুৎপাত নির্ঝর ঝর্ণা
দোলনার দোল দোলে বুকের ভিতর তোমার অস্তিত্ব

ডুবে যায় ভাবনার অতল তলে আবেগী চঞ্চল হৃদয়
তোমার পূর্ণতা তুমি; শূন্য বক্ষে অস্তিত্বের সংকট
মরু বৃক্ষ চায় জল; ফলাতে ফলবতী সুশীল ফল
মোহময়ী বসন্ত তুমি ছাড়া নয় অর্থ ব্যঞ্জনাহীন

কাব্যহীন ধূসর জগৎ পরিপূর্ণ ছন্দময় দীর্ঘশ্বাসে
নিরন্তর তুমি আস; শব্দময় আবেগী হৃদয়ে দাবদাহে
অযুত-লক্ষ-নিযুত-কোটি বাকময় স্বপ্নের বাগানে
প্রস্ফুটিত সুভাসিত তুমি নিদ্রিত আমার প্রাণ........

অচিন পাখি

স্বপ্ন দেখা ভুবন আমার অচেনা রাগের তালে
দুঃস্বপ্ন হয়ে কেন আসে বেদনার ধূম্রজালে
আঁকিউঁকি করে মন সস্থির নিঃশ্বাস বিন্যাসে
ধারাপাত ভগ্ন হয় দাবদাহের করুণ বিশ্বাসে

দেহ লোকে অচিন পাখি তাকে খোঁজে বৃন্দাবনে
কৃষ্ণ রাখেনি কথা তাই তো প্রেমকুঞ্জে রাধার সনে
লীলাময় লীলাভূমি তপ্ত মরুঝাঁজে কান্নার উৎরোল
নবীন রাধে বুঝে কী মনে কৃষ্ণের প্রেম দোল

ভরা ভাদর তপ্ত হয় হৃদয় চায় শান্ত জল
জল বিনা হয় গো বিফল রাধার প্রেম আঁচল
বৃন্দাবনে বন্দি যখন প্রেম-বিরহের অন্য রূপ
দেখতে হবে দেহ লোকে অচিন পাখির আপন স্বরূপ

অমরাবতী 

শুক্লপক্ষের রাত; আকাশে নেই নক্ষত্র আগুন
নীরব আলোর চাঁদও বিলীন; মেঘাচ্ছন্ন আকাশ
দেহলভী ভাবনায় অযুত স্বপ্নের কুম্ভ ডাক
নিঃশব্দে জাগাতে চায় প্রেমের সেতার

অজস্র প্রাণে উল্লাসহীন স্বপ্নলীলার বন্ধন
মেঘ গহীনে আছড়ে পড়ে বিবেকী তাড়নায়
জীবন যুদ্ধে স্বপ্ন নাচায় মৃতের বীভৎস আর্তনাদ
আমার অমরাবতী দ্বীপে কাক-পক্ষীর বসবাস

শান্তির স্থবির ছবি আসে চলমান জীবনের বোধে
আরোহী স্বপ্ন দেখে বন্ধন ভাঙ্গার সুদৃঢ় পায়ে
এগিয়ে চলে দুর্বাব দুর্জয় অমেয় নির্ঘুম প্রাণ
মুক্ত জীবনের সন্ধান করতে সফল অমরাবতী

স্বপ্নদূত

দ্বিতীয় বার শোধন হোক পৃথিবী; আবার আসবে বসন্ত
মনের পিঞ্জরে লালিত গাঁথা স্বপ্ন প্রস্ফুটিত হোক
ভুবন সাদরে গ্রহণ করুক অবারিত স্বপ্নবীজ
আলিঙ্গনে মত্ত হোক ভ্রমর-ফুল-কাক-কোকিল

জাগতিক স্বপ্ন বাদে লিখি কাব্যের স্নিগ্ধ স্বরূপ
যুগের ভিতর যুগ-যন্ত্রণার কাতর বুনন
ভেঙ্গে পড়–ক আনবিক পরমানুর শৈল্পীক আঘাতে
স্বপ্নের মাঝে বয়ে আসুক স্বপ্নদূত; পুষ্পের সৌরভে

টালমাটাল

বৃষ্টির হিমশৈলির মত বহমান নদীর তুফান
মেঘ গলে পড়ে রোদেলা দুপুরে প্লাবন উচ্ছ্বাসে
মাঘের প্লাবনে শৈল চূড়া দাড়ায় হিমাদ্রীর অতলে
নব জীবনের পরসা সাজায় আম্রমুকুলের দেশে

আমি ক্লান্তির সফেদ ফেনায় ভেসে বেড়াই
জোনাক জ্বলা রাতের আঁধারে ঢালা রাত্রির বাসরে
নয়নের মেঘ ভেলা অবারিত স্বপ্ন চরে নিশিকুঞ্জে
আমার মধু বনে প্লাবন ছড়ায় অন্য এক ভ্রমর

আমার নদী বক্ষে কান্নার মত আসে অবারিত ঢেউ
নির্লিপ্ত চক্ষু খোঁজে ময়ূর পেখম পুচ্ছের শ্বাস
ধুলায় লুটায় দিশাহীন জীবনের স্বপ্নের ক্যানভাস
দরিয়ার মাতাল হ্ওায়া ভাসে; জীবন টালমাটাল

বসন্ত প্রোথিত স্বপ্ন

রক্তিম আকাশে বসন্ত ফুলের ঢেউ
জাগ্রত তরুর উন্মাদ তরঙ্গ ঝড়
রচনা করে ভাবের নদের মোহনা
অন্তর নাচায় ফাগুনী আগুনে কবি

বিশুদ্ধ স্রোতের প্রণয় বিলাসী মনে
লোলুপ দৃষ্টির বন্ধন ভাঙ্গার গান
দেদ্যুল চিত্তের নাগর দোলায় আসে
প্রিয় মিলনের প্রিয় সুখে ভাসে বোধ

সান্দ্র হৃদয়ে গহীন অরণ্যে বাঁজে
বসন্ত প্রোথিত নব্য আগমনী গান

বাঁজি

রোদেরা খেলা করে দিন ভর রোদেলা দিনে
পরাণের সখি আমার নাও ভাসায় উড়েন পক্ষীর সনে
আকাশের বক্ষে ভাসে রাত গহীন চাঁদের ধূসর আসর
পিরিতি ডুকরায় উঠেরে ভাবের সারথি নায়ে

আঁচলের নিচে বসে আছে বাসর রাতের কলঙ্কিত চাঁদ
নিয়মের হাজার ডাক ভেঙ্গে পথ হাকে অভিসারী মন
বঙ্গের মাঝে যক্ষের মত ধরে আছে প্রেমের সোহাগ চাঁদ
এক হাজার এক রাতের গল্প নিয়ে সাজাই আদরী মালা

বিফল স্বপ্নে বিভোর মন বারে বারে করে স্বপ্ন বুনন
পাহাড়ের বুকে নদীর জন্ম তবু হয় সাগরের মিলন
জলছবির জলরঙে আঁকাবাকা স্বপ্নের বীজ বোধের ছিকল নাড়ে
নাড়ীর স্পন্দনে আরক্ত জন্ম তিলোত্তমা মন সাগরে ভাসে

আহা! সুন্দর আয় একবার তোর চরণ চুমি বীর রসে ভরা ঠোঁটে
আদি হতে অন্ত পযর্ন্ত ভাসাই প্রেম সায়রী সাম্পান
মদের পিয়ালায় নেশার খেলা উত্তাল হয়ে মাতুক জলে-স্থলে
রণের ডাকে বনে যাবো রক্ত করিব লুট

আমারে যতই ডাকুক কাছে প্রেম নারকীর খেলায়
মনের ফ্রেমে বন্দি হয়ে থাকব না আর হাওয়ায়
চাতক হয়ে চাইবো না আর একটু জলও আমি
জীবন নিয়ে খেলবো আমি জীবন ধরব বাঁজি

দ্বিতীয় মৃত্যু

এসো প্রিয়া তোমায় স্পর্শ করি একটি বার
নেই দ্বিতীয় মৃত্যুর স্বাদ; বার বার মৃত্যু
রূপ বদলায় নগ্ন প্রেমে; মোহময়ী মোহে
জীবনের স্রোত ঢেউ ভাঙ্গা গানের ভৈরবে
মৌবনে মৌমাছি খুঁজে হেমলক বিষ
তোমাকে ভালবাসি আমার ছলনার বোধে
তীক্ষè বিষ তীরের আঘাত লাগে বিষ্ণু বক্ষে
আবার প্রেমের ফুয়ারায় পাল তোলা নৌকা 
তুমি আর আমি এক স্বত্তা; জীবন মরণে
প্রেমের ভুবন আলোকিত সৌরভে সাজাবো
নদের মোহে আসবে নদী চাতুরী বন্যায়
এসো প্রিয়া তোমায় স্পর্শ করি একটি বার
নেই দ্বিতীয় মৃত্যুর স্বাদ; তোমার পরশে.......

বলা হলো না 

আমার আত্মযন্ত্রণার কথা
তোমায় বলি শোন
মন দিয়ে শুনবে
কথা বলবে না

মিছে মিছি তর্ক ছাড়তো
আর ভাল লাগে না
যা বলতে চাই 
কিভাবে যে বলি

একটু থাম, আমার কথাটা
না, বলা হলো না
কিভাবে যে বলি
তার ভাষা খুঁজে পাই না

দুঃখ

আমার ঋদ্ধতায় তিক্ত পৃথিবী
ঝরে পড়ে আকাশের বুক হতে
আলো ভরা নক্ষত্র কান্নায় ফেনিলতায়
মলয়ের সমিরণ ছেড়ে নুড়ে পড়ে বৃক্ষ
জগতের সব পূণ্য ডুবে যায় পাপে
আমার দুঃখে পাখি থামিয়ে দেয় গান
অভিমান ভরা হৃদয়ে চেয়ে থাকি শূন্যে
গাই নিষ্করুণ বেদনার করুণার গান
দাহতায় জ্বলে যায় আমার সবার্ঙ্গ
বুক ভরা দুঃখ আমার ঝরে হয়ে আগুন।

দিপালী জ্যোৎস্না

আকাশের রঙের মত তুমি আস কার্তিকের ফাগুনে
উপসী নারী শাড়ীর আঁচলে বাঁধে স্বপ্ন ভাঙ্গা তীর
আমিও প্রেমের সাম্পান সাজাই অশরীরী আতর প্লাবনে
আকুতি ভরা হৃদয় জাগিয়ে তুলে বিশ্বময় তুর্যধ্বনি

আমার মনের মাঝে স্বপ্নের ভ্রুণ বাসা বাঁধে নিরালায়
প্রেমের মদির পিপাসা তৃষ্ণার্ত হয়ে আব্র“ চোখ
কাতর মন শীত নিদ্রার ভীত ভেঙ্গে গড়ায় নবলোক
সশরীর খেলা করে নগ্ননৃত্যের পন্ডশ্রমে

ঘুমের বারিধার আব্র“ হয়ে আসে চোখের উষ্মিতল
হাজারো জোনাকজ্বলা রাতে আগুন ঝরায়
দীপ্ত মদির কঠোর হাওয়া মনের পরশে শীতল নীড়ে
ভীতের ভীত টান পড়ে জীবনের অগ্নির পথ ঘিরে

আমি ভেসে বেড়াই মেঘের সারির দেশে নগ্ন বেশে
আষাঢ়ের মাঝে খুঁজে পাই ফাগুন দিপালী রাত
কন্টক পথ মসৃণ হয়ে আসে প্রেমে আলোর নীড়ে
পাতালীর পাথারে প্রেমের নাগর হয়ে ছুটে চলি

অজানা পথে পথিক হয়ে আমি ভেসে বেড়াই
আবরণহীন জীবনের হাজার নক্ষত্রের তীরে
ঊষার মত পবিত্র মনে আসে না কামুকতা
নারীর দেহের উষ্ণ মদিরে খুঁজি দিপালী জ্যোৎস্না

আমার জীবন আমার স্বপন তোমার চরণে

আত্মার চিৎকারে তোমার নামের ধ্বনিত কোরাস
আপাদ মস্তকে খেলে বিম্বিত ছন্দে তোমার নৃত্য
নিজেকে আর রাখতে পারলাম না বৃত্তের ছকে
অবনত শিরে স্বাগত জানাই তোমার প্রেমের

কত লুকোচুরি এলোমেলো পথে পালানোর চেষ্টা
মিথ্যে বোধে নাটকীয় প্রেমে উন্মত্ত হলাম আমি
তবু মুক্তি নেই তোমার উন্মাদ প্রেমের বাঁধনে

আমার ব্যক্তিত্বের শেষ অস্তিত্ব আমার জীবন
আমার স্বপন আজ নিবেদন তোমার চরণে

প্রতারক ভালবাসা

আমি একদিন বলেছিলাম
কদম তলার নিবীড় ছায়ায় দাঁড়িয়ে
“আমি ভালবাসি ভালবাসি তোমায়
তুমি থাকবে আমার হৃদয় পরশে
যতদিন আছি বেঁচে এই রূপময় পৃথিবীতে।"
তুমি বাঁকা ঠোঁটের বিজলী হাসি হেসে
দুষ্টু চোখের চঞ্চল দৃষ্টি দিয়ে, বলেছিলে আমায়
"যতদিন গগনে উঠবে চাঁদ
ততদিন আমি থাকব তোমারই পাশে।
শত শোকে, শত দুখে তোমাকে
সুখের পরশ দিব প্রেমালিঙ্গনে।"
সেই তুমি একটু স্বার্থের মোহে
আমায় একা করে চলে গেলে অন্যের হাত ধরে।
তোমায় দেখলে এখন ঘৃনায় দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে
বিকট চিৎকার করে বলতে চায় এই মন
তোমার ঐ বাঁকা ঠোঁটের বিজলী হাসি
ও হাসি সর্বনাসী, সর্বগ্রাসী, মহাত্রাসী।

প্রতারক প্রেম

তোমার প্রেম আমার চিত্তকে ঘিরে নয়
তোমার প্রেম আমার টসটসে লাল দুটি ঠোঁটে।
তোমার প্রেম ক্রিয়া করে
আমার সু-উচ্চু বক্ষ যুগলে।
তুমি চাও আমার নাভীর অষ্ট আঙ্গুল
নিচের নরম মাংসের স্বাদ।
তোমার লোলুপ দৃষ্টি ক্রিয়া করে
আমার যৌবন ভর দেহে।
তুমি আমাকে কামনা কর না
কামনা কর আমার দেহ।
তোমার প্রতারক প্রেমের ছাপ
আমি স্পষ্ট দেখতে পাই
তোমার কামুক দুটি চোখে।

খুঁজবে তুমি

তোমার কবোষ্ণ অধর
চায়না কি একটু সুখের পরশ?
তুমি যদি চাও দিতে পারি আমি
নগ্ননৃত্যের মর্মঘাতী আয়োজনে
যৌবন নদীতে সাঁতার।

হিম ঝরা পউষ যখন
সমস্ত পৃথিবীর মাঝে করে শিশিরের আয়োজন
দুর্বাঘাস হেসে উঠে সুখের পরশ মোহে।
তোমার লোমকূপে কি জাগে না ঢেউ
তৃষ্ণার্ত দুটি ঠোঁটের পরশ পেতে ?

বসন্তের আগমনে ফিরে পায়
কোকিল তার আপন কন্ঠস্বর
তোমার কি আসে না যৌবন
মোহময়ী কামনায় করে না অস্থির
শ্রাবণ-প্লাবনের মত দেহমন।

কামনায় আছি আমি আসবে বসন্ত
নতুন সুরে আপন ভূমে
জাগাবে ঢেউ জাগাবে মৌ
তোমার দেহে।
উন্মাদিনী বেশে খুঁজবে তুমি
সমস্ত বিশ্ব তোড়ে আমায়।
তখন থাকব আমি
নীল নীলিমা মিশে।

তমসা, তুমি শুধু আমার

তমসা,
তুমি শুধু আমার
আমার অন্তর আত্মার ।
আমার ক্ষুধার রাজ্যের
বাসন্তী ফুলের সমাহার।

তমসা,
তুমি শুধু আমার
স্বপ্ন গোলকের আঁধার।
চন্দ্রিমা রাত্রিটার
নীল বেদনার।

তমসা,
তুমি শুধু আমার
রং তুলির ছবি আঁকার
হৃদয়ের ক্যানভাসের পোস্টার
আমার চঞ্চলতার।

তমসা,
তুমি শুধু আমার
নিদ্রাহীন রাতের বাসর রচনার।
স্বপ্নের ক্যানভাসে বার বার
তোমাকে নিজের করে ভাবার।

তমসা
তুমি শুধু আমার
আমার দু’চোখের কান্নার ঝর্ণার।
বার বার নত শিরে পূজার
চাই তোমার কাছে অধিকার।

তমসা,
তুমি শুধু আমার
আমার মৌন যন্ত্রণার।
বিলাস বহুল কামরার
নিশীথের ব্রহ্মচারীতার।

অভিশপ্ত জীবন

ঋদ্বতার তীক্ষ তীরে ক্ষয়িস্নু জীবন
জন্ম পাপে অন্ধ মুদিত লোহিত আঁখি
আত্মার ক্রন্দনে ক্ষয়িত বুকের ঊষর জমিন
প্রতীক্ষার বন্ধনে জীবন ম্রিয়মান
তুচ্ছ স্বপ্নের কঠোর হাতুরীর নির্মম আঘাত
যন্ত্রণার বিষম প্রদাহে ক্ষত-বিক্ষত অস্থি-মস্তিস্ক
প্রেমের পিয়ালা ভরা হেমলক বিষ
আঘাতে আঘাতে তাড়িত প্রাণ
শাপ ভ্রষ্ট জীবনের দায়ে আর কতবার উঠবো ফাঁসির কাষ্ঠে
নির্মম বাস্তব পীড়নের হাতে বন্দী নটরাজ
মেঘের দ্বারে একটু শান্তি একটু বর্ষণ
সেখানেও বজ্রাঘাতে দুর্বার মৃত্যুর শান্ত মূর্তি
ফিলিস্তিন হতে আফগান লোকায়িত স্বপ্নলোক
ধসে যাচ্ছে নিপীড়িত আর্তনাদে
সঙ্গমহীন জীবনে বন্ধনের মূল্য নেই
কবে হবে আত্মার সাথে প্রাণের; মৃত্যুর সাথে জীবনের মিলন
প্রতীক্ষার হুতাশনে পুড়েই যাচ্ছি লোহিত আঁখির অন্ধকারে
সাইরেন শব্দে ঘটে যায় রোজার সমাপ্তি
আযানের মাঝে খুঁজে পাই ধ্বংসের নিত্য ছন্দ
তবু ছন্দবন্ধ জীবনের পতন ঘটে না
অভিশপ্ত জীবন মুক্তি চায়...........

প্রেম অনুরাগী

তুমি আমার ভালবাসার শিহরণ
স্পন্দনে স্পন্দিত আপাদ মস্তকে।
রক্তের কনিকায় কনিকায় লিখেছি
প্রাণের পূজারী করে তোমার নাম।

মরুময় প্রাণে তুমি এনে দিলে প্রাণ
মূরুজবীণায় তুলিলে তুমি সুরের কলতান।
দু'চোখে আমার স্বপ্ন সুধা এনে দিলে তুমি 
এমন প্রেমে মাতালে আমায় করলে অনুরাগী।

দুঃখ ভুলে হাসির মাঝে আমি বেঁচে আছি
তোমার প্রেম পেয়ে আমি হলাম মৃত্যুঞ্জয়ী।
হাসির ছলেও উপহাসে দুঃখ যদি দাও তুমি
তাহলে তুমি জেনে রাখ আমি মরব দিয়ে ফাঁসি॥