পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৩

একটি করুণ ভালবাসার গল্প

নামঃ শারমিন আক্তার লিজা।
পিতাঃ মুরশেদ আলম।
গ্রামঃকালাসোনা।
থানাঃদাউদকান্দি,কুমিল্লা।


মেয়ে প্রথম ২০০৭ এর জুলাই মাসে গাজীপুরের
হৃদয় নামে একটি ছেলের সাথে মোবাইলে প্রেম করে। এর মাঝে হৃদয় হয়ে যায় প্রবাসী ২০০৯ এ লিজা হৃদয়ের অনুপস্থিতে অন্য এক ছেলের
সাথে মোবাইলে প্রেম করে,পরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে।

ছেলটির নামঃআনোয়ার

জন্মসূত্রে চাঁদপুরের ছেলে হলেও থাকে চিটাগং। যাই ওদের বিয়ের তিন মাসের মাথায় ডির্ভোস হয়। ওদিকে লিজাকে হারিয়ে নেশাগ্রস্ত হৃদয়
কিছুতেই ভুলতে পারেনা লিজাকে,হঠ্যাৎ একদিন লিজা হৃদয়কে ফোন করে,তার সব কথা খুলে বলে আনোয়ার ওকে টর্চার করতো,নারী লোভী তাই ওকে ডির্ভোস দিয়েছে জানায়। আরও বলে যে আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আর না তুমি কি আমাকে এখনও ভালবাসো? যদি ভালবাসো আমাকে বিয়ে করো। হৃদয় লিজাকে প্রচন্ড ভালোবাসে তাই সে বলে হ্যা ভালবাসি। তখন বলে ওকে আমরা আগমীকাল বিয়ে করবো আমি এখন আমার বড় আপার বাড়ি কোনাপাড়াতে কাল আমি ঢাকা মেডিকেল মামিকে দেখতে যাবো তুমি ওখানে আসবে। জুলাই মাসের ১২ তারিখ ওরা বিয়ে করে,হৃদয় লিজাকে রাতে ওর বোনের বাড়ি পৌছে দেয়। ওদের বিয়ের চার মাস পর|লিজা তার মামাতো ভাইয়ের সোমনধি মামুনের প্রেমে জড়িয়ে পড়ে আর বিয়ে করে। কিন্তু হৃদয়কে কোন ডির্ভোস দেয়নি। ইতিমধ্যে লিজার একটি কন্যা সন্তান হয়েছে বলে জানা যায়|উল্লেখ্য লিজা হৃদয়কে জানিয়ে ছিলো সে কখনও মা হতে পারবেনা|এতে হৃদয় লিজাকে যদি বকা ঝকা করে তাই হৃদয়
ডাক্তারের মাধ্যমে সে যেন কখন বাবা না হতে পারে সে ব্যবস্থা করে।

হায়রে ভালবাসা! 
মানসিক ভাবে অসুস্থ হৃদয়ের 
একটাই প্রশ্ন কি তার অপরাধ?
কে দেবে এর উত্তর আমাদের জানা নেই।
লিজা ও হৃদয়ের বিয়ের কথা ওদের পরিবারের সবাই জানে তারপরও অবৈধ মামুন ও লিজার ঘড়ে এসেছে জারয একটি মেয়ে সামাজিক সীকৃতি থাকলেও ইসলাম তাদের সর্মথন
করেনা। লিজার দুলা ভাই চাঁদপুর কচুয়া এলাকার সন্ত্রাসী ইব্রাহিম। হৃদয় কি পারবে সুস্থ হতে?পারবে কি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে? ভালবাসার এ কেমন পরিনতি?





রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৩

অসাধারন প্রপজ

সময় রাত ১১ টা। পড়ার টেবিলে বসে প্রপজ করার হাজারটা উপায় নিয়ে ভাবছি। দেড় বছর ধরে একজনকে প্রপজ করার জন্য ঘুরঘুর করছি কিন্তু বিধাতা প্রতিবারই আমায় দেখে মুচকি হাসেন।

১.

মিতাকে ১২ দিন আগে বলে রাখলাম যে ক্লাসের পর একসাথে কেএফসি তে লাঞ্চ করব। মনের কথা তখনই বলব। লাঞ্চ করা শেষ। মনে মনে ঠিক করছি কিভাবে বলব। তখনই বাড়ি থেকে বাবা ফোন দিলেন। জানালেন মা-র খুব জ্বর। তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে। মুহূর্তের মধ্যে সব ভুলে গেলাম। মিতাকে রিকশায় তুলে দিয়ে সরাসরি চলে গেলাম বাস স্ট্যান্ডে, রওনা দিলাম বাড়ির দিকে...

২.

বাড়ি থেকে ফিরতে ফিরতে ৪-৫ দিন লেগে গেল। ঢাকায় এসে সব অগোছালো দেখলাম। কয়েকদিন ক্লাস মিস দেয়ায় অ্যাপ্লিকেশান সাইন করানোর জন্য টিচারদের পেছনে কয়েকদিন ঘুরলাম। এক সপ্তাহ পর সব আবার আগের মত হয়ে গেল। ঠিক করলাম এবার মিতাকে মনের কথা বলে দিব। ক্লাস শেষে মিতাকে বললাম রিকশা করে ঘুরতে যাব...! মিতা তো এক পায়ে খাড়া। রিকশায় বসে বসে চিন্তা করছি কিভাবে মিতাকে কথাটা বলব... মনে মনে ঠিক করে ফেললাম কি বলব। যখনই বলতে নিলাম তখনই রিকশা হঠাৎ করে ব্রেক চাপল। জীবনের প্রথমবারের মত রিকশা থেকে পড়ে গেলাম।

মিতা তো আমাকে দেখে হাসতে হাসতে শেষ। রিকশাওয়ালার উপর ভীষণ মেজাজ খারাপ হল কিন্তু তারই বা কি করার!! রিকশায় উঠে চুপ-চাপ বসে রইলাম... মিতা হাসছে তো হাসছেই। এমন অবস্থায় মুখে ‘ভালবাসি’ কথাটা আসল না।

৩.

একের পর এক আমার সব প্ল্যান এভাবে পানিতে পড়ছে...! এক সময় আমার কাছে যেন ওকে মনের কথাটা বলাই মুখ্য হয়ে গেল...! হ্যাঁ , না... যা—ই বলুক, আমাকে তো প্রপজ করতে হবে!! মাথায় সারাদিন একটা চিন্তাই ঘুরত কিভাবে মনের কথাগুলো বলব।

৩য় বার প্রপজ করেছিলাম স্বপ্নের মাঝে। আল্লাহর অশেষ রহমত ওটা স্বপ্নই। “আমি তোমাকে ভালো...” এ টুকু বলার পরেই গালে ঠাশ করে শব্দ হল। ঘুম থেকে উঠলাম... উঠে দেখি মিতাই ফোন করেছে...

৪.

মিতাকে পছন্দ করি দেড় বছর ধরে। আমার ফ্রেন্ডরা ওদের গার্লফ্রেন্ডদের প্রপজ করেছে পরিচয়ের এক মাসের মাথায়!! আর আমি গাধার মত বসেই আছি। দুজন ফ্রেন্ড আবার এর মধ্যে ব্রেকাপও করে ফেলেছে। দুনিয়া সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি যাচ্ছি উলটা দিকে।

ঠিক করলাম মিতার পিছে ঘুরবই না। ভালবাসলেই যে বলতে হবে এমন কোন কথা আছে? আমি আমার মত ভালবাসতে থাকি। ওকে না পেলেই বা কি...ভালো তো বেসেছি।
কিন্ত এ কথাগুলো বলা যত সহজ মেনে নেয়া এত সহজ নয়। তাও আমি প্রপজ করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিলাম। কতদিন মনের আনন্দে পড়তে বসি না... মাথায় খালি মিতা আর মিতা। আজ থেকে সব বাদ।

ঘরের লাইট বন্ধ করে ঘুমাতে গেলাম। কাল থেকে আমি দেড় বছর আগের ‘নাফিস’ হয়ে যাব।

৫.

সকালে এক বন্ধুর ফোনে ঘুম ভাঙল। ফোন ধরার পরই বলল, “দোস্ত তুই কই?? তাড়াতাড়ি আয়... মিতার বাসায় নাকি বিয়ে ঠিক করেছে... সবাই মিলে আজ ঘুরতে যাব। বিয়ের পর তো আর ঘুরতে যাওয়া হবে না!”

মাথা গরম হয়ে গেল। আজই মিতাকে সব বলে দিব। ওকে মোট ১৩ বার প্রপজ করতে গিয়েছিলাম সেটা বলব। কবে থেকে ভালবাসি তাও বলব। রেডি হয়ে রওনা দিলাম। যাওয়ার আগে ঠিক করে ছিলাম সরাসরি বলব I love you……কিন্তু মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল ‘আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই’! সবার সামনেই বলে ফেললাম...! সবাই আমার কথা শুনে হেসে উঠল...আমার মেজাজ আরও গরম হয়ে গেল... তারপর একজন বলল, ‘এই কথাটা বলতে এতদিন লাগল’ ? আমি তো অবাক... ওরা জানে কিভাবে যে মিতা কে পছন্দ করি...!

~~~~ আসলে মিতার বিয়ে ঠিক হয়নি... আমাকে দিয়ে প্রপজ করানোর জন্যই ওদের এই নাটক...! কে জানে নাটকটা না করলে হয়ত কোনদিনই বলতে পারতাম না...! ~~~~