পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩

অসাধারণ ভালোবাসা


ছেলেঃ জ্বর কমছে তোমার?
মেয়েঃ হ্যাঁ, কমে তো গেছিলো। কালকে রাত্রে আবার আইস ক্রিম খাইছিলাম। তারপরে আবার বেড়ে যায়।
ছেলেঃ কি? তুমি পাগল নাকি স্টুপিড? আচ্ছা তুমি এমন কেন করলা? এত বেখিয়ালি? এখন মন চাচ্ছে তোমাকে ১টা চড় মারি গালে। তুমি না লেখা পড়া করো? তারপরে ও কেন অশিক্ষিত এর মত কাজ করো? ধং করো? আমার অবাক লাগছে তোমার মত একটা স্টুপিড এর সাথে আমি প্রেম করি। এই মেয়ে নিজেকে কি মনে করো ? তোমার ইচ্ছামত সব হবে? তোমার লাইফ তোমার একার না? তাহলে আমার সাথে কেন প্রেম করো? কেন আইস ক্রিম খাইসিলা তুমি? আমাকে উত্তর দাও?
মেয়েঃ হাহাহাহাহা তুমি না। সত্যি বলছি আমি আইস ক্রিম খাইনি। তোমার কাছ থেকে বকা খাওয়ার জন্য মিথ্যা বলেছি. সরি জান। তুমি যখন আমাকে এভাবে বকা দাও তখন তোমার চোখে এই রাগ এর মাঝে ভালবাসা দেখতে পারি। তখন নিজেকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মেয়ে মনে হয়।
ছেলেঃ তুমি কি জানো? একটা ইডিয়ট একটা স্টুপিড একটা পাগল । আর কি জানো তুমি আমার লক্ষী জান।
মেয়েঃ তাহলে চল আইস ক্রিম খাই।
ছেলেঃ কি বললে? এই জ্বর এর মাঝে? তুমি তো আসলেই পাগল। তুমি কি ভাবছ তুমি আদর করে বললেই আমি তোমার কথা শুনবো?

মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বলল..আই লাভ ইউ...!!♥♥♥

অসাধারণ একটি ভালোবাসার গল্প..পড়ে দেখার অনুরোধ রইল

Girlফ্রেন্ড : আমাকে কেন পছন্দ করো?

Boyফ্রেন্ডঃ কোন কারন না ই!!

Girl ফ্রেন্ড এটা পছন্দ করলনা আর বলল "না আমাকে কারন বল"

Boyফ্রেন্ডঃ ঠিক আছে, .."তুমিখুব সুন্দর, Caring আর আকর্ষণীয়"তাই.

Girlফ্রেন্ড খুব খুশি হল এইটা শুনে ;
........এর কিছুদিন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে গেল
অসুখের কারনে লাবণ্য
হারিয়ে শুকনো ঝরা পাতার মত হয়ে গেল !!

তখন সে তার Boyফ্রেন্ড
কে বললঃ তুমি কি এখনও আমাকে ভালবাস??

ছেলেঃএখন তো তুমি দেখতে সুন্দর
না তাহলে বল তোমাকে ভালবাসার আমার
কি কারন থাকতে পারে !!!

মেয়েটি তারপর কাঁদতে শুরু করলো...:(:(
তখন ছেলে মেয়ের হাত
জড়িয়ে ধরে বলল..."ভালবাসতে কোন কারন
লাগেনা ; আমি তোমাকে ভালোবাসিআর
আজিবন ভালবেসে যাব যাই ঘটুক না কেন"!!

[Moral: "ভালবাসার কারন খুজতে না গিয়ে এর মধ্যকার
আবেগটাকে খুঁজে বের করুন জীবন হবে অনেক সুন্দর"]





বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৩

♥♥একটি ছোট গল্প♥♥ পড়ে দেখার অনুরধ রইল...

একটা মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে । সে বুঝতে পারলো একটা ছেলে
থাকে অনুসরণ করছে। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর
মেয়েটা দাড়িয়ে রইল
এবং পিছনে ফিরে দেখল যে ছেলেটাও দাড়িয়ে আছে।
মেয়েটা ছেলেকে ডেকে আনল
এবং জিজ্ঞাসা করলো, তুমি আমার পিছু
নিয়েছ কেনো?
ছেলেটা বলল , আমি তোমাকে ভালোবাসি।

এটা শুনে মেয়ে বলল,তোমার
পিছনে দেখো আমার থেকে সুন্দর
একটা মেয়ে আসছে !!!!!
তখন ছেলেটা পিছন ফিরে তাকাল এবং দেখল যে কেউ নেই!!।
তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালবাসতে তাহলে তুমি সুন্দর
ওই মেয়েকে দেখার জন্য পিছনে ফিরে তাকাতে না।

তুমি আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে!
তোমার যেটা হয়েছে সেটা ভালোবাসা না সেটা ভালোলাগা.....!!!




রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৩

অসাধারন প্রেমের কাহিনী......


এক মেয়ে, ছেলেকে বলল আমি যখন তোমার

পাশে থাকিনা তুমি আমাকে মিস করো??

ছেলেঃ হা অবশ্যই করি

মেয়েঃকতটুকু??

ছেলেঃঅনেক

মেয়েঃআমাকে বল ঠিক কতটুকু??

ছেলেঃ ঠিক আছে, সোজা হয়ে বস, এখন
নিশ্বাস বন্ধ করো, মেয়ে নিশ্বাস বন্ধ
করলো
কিছুক্ষণ পর যখন সে দেখল মেয়ে আর
নিশ্বাস বন্ধ করে রাখতে পারছেনা তখন
সে বলল এখন নিশ্বাস নাও!!

আর তুমি এই মুহূর্তে নিশ্বাস টা যতটুকু মিস
করেছ আমি তোমাকে ঠিক সেই পরিমান মিস
করি...!!♥♥♥


বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৩

একটি সত্যিকারের ভালবাসারার গল্প -----) ‘‘খবরদার কাঁদবে না’’




মেয়েটির সাথে ছেলেটির সম্পর্ক
আজ প্রায় ৫ বছর।
ছেলেটি মেয়েটিকে একদিন
একটি বারবি ডল উপহার দিয়েছিল।
ছোট্ট একটা কোম্পানিতে সামান্য
কিছু বেতনে চাকরিকরতো বিধায়

ইচ্ছা থাকলেও বড় কিছু

কিনে দেবার সামর্থ্য ছিল না তার।
ছেলেটি ভাবতো সে যদি মেয়েটি
তাকে ঐশ্বর্যের সুখ দিতে পারবেনা।
হঠাৎ কোনও এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়
মেয়েটি সেই ছেলেটির বাসার
সামনে এসে হাজির।
মেয়েটি বললো,আগামিকাল সন্ধ্যায় সে তার বা মার
সাথে প্যারিসে চলে যাচ্ছে এবং স
দিনও ফিরবে না।সুতরাং তাদের সম্পর্ক
আজ এখানেই শেষ।

ছেলেটি কি বলবে বুঝতে পারছিলো
পানি সামলে নিয়ে শুধু আস্তে করে বললো “ঠিক
আছে”
পরদিন সন্ধ্যা...
আজও গত দিনের মতো বৃষ্টি হচ্ছে।
ছেলেটি এক কাপ চা হাতে বারান্দায়
দাড়িয়ে ছিল। হঠাৎ খেয়াল
করে দেখলো দূর আকাশে একটি প্লেন ভেসে চলেছে।
গন্তব্য জানা না থাকলেও
ছেলেটি বিড় বিড় করে আপন মনে তার ভালবাসার
মানুষটিকে দূর
থেকেই গুড বাই জানালো।

রাত ১ টা...
ছেলেটি ঘুমোতে পারছে না।
কয়েক ডোজ ঘুমের ওষুধ
খেয়ে চোখ মুখ জ্বালা করছে তবুও ঘুম
নেই।যেই মানুষটিকে ভেবে ভেবে সে প্রতি র
পার করেছে,যাকে নিয়ে ভাবতে ভাবত
প্রতিটি সকাল হয়েছে সেই
মানুষটি তাকে ছেড়ে চলে গেছে স্প
বুঝতে পারছিলো সে,নিজের
কাছে কিছু সত্য ভালবাসা ছাড়া আর এমন কিছুই ছিল
না যার মাধ্যমে সে তার
ভালবাসাকেআঁকড়ে রাখবে।
ঐশ্বর্যের ভেতরে থেকে যে মানুষ
হয়েছে সে কেন মনের
আবেগে অন্ধকারে পা দেবে,কথা গু
ছেলেটি মন শক্ত করল। যে ঐশ্বর্যের
টানে মেয়েটি আজ
তাকে ছেড়ে চলে গেলো একদিন
সমপরিমান ঐশ্বর্য নিয়েই
সে মেয়েটিরসামনে হাজির হবে।

কঠোর পরিশ্রম আর নিয়তির নির্মম পরিহাসে ছেলেটি আজঅঢেল
সম্পত্তির মালিক। নিজস্ব কোম্পানি,আর লাখ
টাকা মূল্যের গাড়ি নিয়ে সে আজ সম্পূর্ণ প্রস্তুত
সেই মেয়েটির সামনে হাজির হতে।
আজও সন্ধ্যা হয়েছে,আকাশ মেঘ
করে অঝোরে বৃষ্টি নামছে,ঠিক যেন
সেই দিনের বৃষ্টি যেদিন তার
ভালবাসাতাকে ছেড়ে চলে গিয়ে
আনমনে এ সব কথা ভাবতে ভাবতে গাড়ি চালাচ্ছ
এয়ারপোর্ ট রোড,রাত ৮টায়
ফ্লাইট,গন্তব্য প্যারিস-সেই মেয়েটির খোঁজে।
গাড়ি চালাতে চালাতে হঠাৎ
সামনের রাস্তায় দুইজন মধ্য বয়সী নারি পুরুষের দিকে চোখ
গেলো তার।
চিনতে অসুবিধা হয়নি,তারা সেই
মেয়েটির বাবা মা। ইচ্ছে হচ্ছিলো কাছে যেয়ে মেয়েট
ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে।কিন্তু
মনের আকুলতা সামলে নিয়ে সেগাড়ির
গতি কমিয়ে মেয়েটির
বাবা মার পিছু পিছু যেতে লাগলো।

কিছুক্ষণ পর সে খেয়াল করল
মেয়েটির বাবা মা একটি কবর স্থানের ভেতর
ঢুকছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে ছেলেটির।
গাড়ি থামিয়ে দ্রুত সে নিজেও
কবরস্থানেগেলো,যেয়ে দেখতে পে
সেই মেয়েটির ছবি সম্বলিত একটি কবরে তার
বাবা মা ফুল দিচ্ছে।
কবরের এক পাশে রয়েছে একটি বাক্স।
ছেলেটিকে দেখে মেয়েটির
বাবা মা এগিয়ে এলো।কেমন
করে এ সব হল জানতে চাইলে
তারা বলে, “ওকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য
প্যারিসে নিয়ে যেতে চেয়েছিল
কিন্ত ু ও যেতে চাইনি,ও তোমার
কথা বলেছিল।বলেছিল-ত ার
ভালবাসাকে রেখে সে কিছুতেই
যেতে পারবে না।
ওর আসলে ক্যান্সার হয়েছিলো।
ডাক্তার ওর মৃত্যুর দিন ঠিক করে দিয়েছিল কিন্তু এ সব
তোমাকে ও বুঝতেও দেই নি।ও কোনও দিনও
তোমার হতে পারবে না,এ কথা জেনেই ও
নিজেকে তোমার
থেকে আলাদা করে নিয়েছিলো।ও
মৃত্যুর আগে বলে গিয়েছিলো- ওর
ভালবাসা অবশ্যই
তোমাকে ওরকাছে ফিরিয়ে আনবে”
এর পর তারা কবরের পাশের সেই
বাক্সটার দিকে দেখিয়ে বললো,সম্ভবত
তোমার জন্য ওটাতে কিছু আছে।
ছেলেটি বাক্স খুলে দেখে এর ভেতর
সেই বারবি ডলআর একটি চিঠি।

চিঠিতে লেখা রয়েছে “আমাকে ক্ষ
দেওয়ার কোনও ইচ্ছাই আমার ছিল না।
স্বপ্ন ছিল তোমার সাথে আমার ভবিষ্যৎ
গড়ব,কিন্তু ডাক্তার আমার চলে যাবার টিকিট
দিয়ে দিয়েছিল,তাই আমাকে একলা চলে আসতে হল”।
চিঠির একদম শেষ প্রান্তে লেখা ছিল-“খবরদার
কাঁদবে না”




মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৩

একটি করুণ ভালবাসার গল্প

নামঃ শারমিন আক্তার লিজা।
পিতাঃ মুরশেদ আলম।
গ্রামঃকালাসোনা।
থানাঃদাউদকান্দি,কুমিল্লা।


মেয়ে প্রথম ২০০৭ এর জুলাই মাসে গাজীপুরের
হৃদয় নামে একটি ছেলের সাথে মোবাইলে প্রেম করে। এর মাঝে হৃদয় হয়ে যায় প্রবাসী ২০০৯ এ লিজা হৃদয়ের অনুপস্থিতে অন্য এক ছেলের
সাথে মোবাইলে প্রেম করে,পরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে।

ছেলটির নামঃআনোয়ার

জন্মসূত্রে চাঁদপুরের ছেলে হলেও থাকে চিটাগং। যাই ওদের বিয়ের তিন মাসের মাথায় ডির্ভোস হয়। ওদিকে লিজাকে হারিয়ে নেশাগ্রস্ত হৃদয়
কিছুতেই ভুলতে পারেনা লিজাকে,হঠ্যাৎ একদিন লিজা হৃদয়কে ফোন করে,তার সব কথা খুলে বলে আনোয়ার ওকে টর্চার করতো,নারী লোভী তাই ওকে ডির্ভোস দিয়েছে জানায়। আরও বলে যে আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আর না তুমি কি আমাকে এখনও ভালবাসো? যদি ভালবাসো আমাকে বিয়ে করো। হৃদয় লিজাকে প্রচন্ড ভালোবাসে তাই সে বলে হ্যা ভালবাসি। তখন বলে ওকে আমরা আগমীকাল বিয়ে করবো আমি এখন আমার বড় আপার বাড়ি কোনাপাড়াতে কাল আমি ঢাকা মেডিকেল মামিকে দেখতে যাবো তুমি ওখানে আসবে। জুলাই মাসের ১২ তারিখ ওরা বিয়ে করে,হৃদয় লিজাকে রাতে ওর বোনের বাড়ি পৌছে দেয়। ওদের বিয়ের চার মাস পর|লিজা তার মামাতো ভাইয়ের সোমনধি মামুনের প্রেমে জড়িয়ে পড়ে আর বিয়ে করে। কিন্তু হৃদয়কে কোন ডির্ভোস দেয়নি। ইতিমধ্যে লিজার একটি কন্যা সন্তান হয়েছে বলে জানা যায়|উল্লেখ্য লিজা হৃদয়কে জানিয়ে ছিলো সে কখনও মা হতে পারবেনা|এতে হৃদয় লিজাকে যদি বকা ঝকা করে তাই হৃদয়
ডাক্তারের মাধ্যমে সে যেন কখন বাবা না হতে পারে সে ব্যবস্থা করে।

হায়রে ভালবাসা! 
মানসিক ভাবে অসুস্থ হৃদয়ের 
একটাই প্রশ্ন কি তার অপরাধ?
কে দেবে এর উত্তর আমাদের জানা নেই।
লিজা ও হৃদয়ের বিয়ের কথা ওদের পরিবারের সবাই জানে তারপরও অবৈধ মামুন ও লিজার ঘড়ে এসেছে জারয একটি মেয়ে সামাজিক সীকৃতি থাকলেও ইসলাম তাদের সর্মথন
করেনা। লিজার দুলা ভাই চাঁদপুর কচুয়া এলাকার সন্ত্রাসী ইব্রাহিম। হৃদয় কি পারবে সুস্থ হতে?পারবে কি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে? ভালবাসার এ কেমন পরিনতি?





রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৩

অসাধারন প্রপজ

সময় রাত ১১ টা। পড়ার টেবিলে বসে প্রপজ করার হাজারটা উপায় নিয়ে ভাবছি। দেড় বছর ধরে একজনকে প্রপজ করার জন্য ঘুরঘুর করছি কিন্তু বিধাতা প্রতিবারই আমায় দেখে মুচকি হাসেন।

১.

মিতাকে ১২ দিন আগে বলে রাখলাম যে ক্লাসের পর একসাথে কেএফসি তে লাঞ্চ করব। মনের কথা তখনই বলব। লাঞ্চ করা শেষ। মনে মনে ঠিক করছি কিভাবে বলব। তখনই বাড়ি থেকে বাবা ফোন দিলেন। জানালেন মা-র খুব জ্বর। তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে। মুহূর্তের মধ্যে সব ভুলে গেলাম। মিতাকে রিকশায় তুলে দিয়ে সরাসরি চলে গেলাম বাস স্ট্যান্ডে, রওনা দিলাম বাড়ির দিকে...

২.

বাড়ি থেকে ফিরতে ফিরতে ৪-৫ দিন লেগে গেল। ঢাকায় এসে সব অগোছালো দেখলাম। কয়েকদিন ক্লাস মিস দেয়ায় অ্যাপ্লিকেশান সাইন করানোর জন্য টিচারদের পেছনে কয়েকদিন ঘুরলাম। এক সপ্তাহ পর সব আবার আগের মত হয়ে গেল। ঠিক করলাম এবার মিতাকে মনের কথা বলে দিব। ক্লাস শেষে মিতাকে বললাম রিকশা করে ঘুরতে যাব...! মিতা তো এক পায়ে খাড়া। রিকশায় বসে বসে চিন্তা করছি কিভাবে মিতাকে কথাটা বলব... মনে মনে ঠিক করে ফেললাম কি বলব। যখনই বলতে নিলাম তখনই রিকশা হঠাৎ করে ব্রেক চাপল। জীবনের প্রথমবারের মত রিকশা থেকে পড়ে গেলাম।

মিতা তো আমাকে দেখে হাসতে হাসতে শেষ। রিকশাওয়ালার উপর ভীষণ মেজাজ খারাপ হল কিন্তু তারই বা কি করার!! রিকশায় উঠে চুপ-চাপ বসে রইলাম... মিতা হাসছে তো হাসছেই। এমন অবস্থায় মুখে ‘ভালবাসি’ কথাটা আসল না।

৩.

একের পর এক আমার সব প্ল্যান এভাবে পানিতে পড়ছে...! এক সময় আমার কাছে যেন ওকে মনের কথাটা বলাই মুখ্য হয়ে গেল...! হ্যাঁ , না... যা—ই বলুক, আমাকে তো প্রপজ করতে হবে!! মাথায় সারাদিন একটা চিন্তাই ঘুরত কিভাবে মনের কথাগুলো বলব।

৩য় বার প্রপজ করেছিলাম স্বপ্নের মাঝে। আল্লাহর অশেষ রহমত ওটা স্বপ্নই। “আমি তোমাকে ভালো...” এ টুকু বলার পরেই গালে ঠাশ করে শব্দ হল। ঘুম থেকে উঠলাম... উঠে দেখি মিতাই ফোন করেছে...

৪.

মিতাকে পছন্দ করি দেড় বছর ধরে। আমার ফ্রেন্ডরা ওদের গার্লফ্রেন্ডদের প্রপজ করেছে পরিচয়ের এক মাসের মাথায়!! আর আমি গাধার মত বসেই আছি। দুজন ফ্রেন্ড আবার এর মধ্যে ব্রেকাপও করে ফেলেছে। দুনিয়া সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি যাচ্ছি উলটা দিকে।

ঠিক করলাম মিতার পিছে ঘুরবই না। ভালবাসলেই যে বলতে হবে এমন কোন কথা আছে? আমি আমার মত ভালবাসতে থাকি। ওকে না পেলেই বা কি...ভালো তো বেসেছি।
কিন্ত এ কথাগুলো বলা যত সহজ মেনে নেয়া এত সহজ নয়। তাও আমি প্রপজ করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিলাম। কতদিন মনের আনন্দে পড়তে বসি না... মাথায় খালি মিতা আর মিতা। আজ থেকে সব বাদ।

ঘরের লাইট বন্ধ করে ঘুমাতে গেলাম। কাল থেকে আমি দেড় বছর আগের ‘নাফিস’ হয়ে যাব।

৫.

সকালে এক বন্ধুর ফোনে ঘুম ভাঙল। ফোন ধরার পরই বলল, “দোস্ত তুই কই?? তাড়াতাড়ি আয়... মিতার বাসায় নাকি বিয়ে ঠিক করেছে... সবাই মিলে আজ ঘুরতে যাব। বিয়ের পর তো আর ঘুরতে যাওয়া হবে না!”

মাথা গরম হয়ে গেল। আজই মিতাকে সব বলে দিব। ওকে মোট ১৩ বার প্রপজ করতে গিয়েছিলাম সেটা বলব। কবে থেকে ভালবাসি তাও বলব। রেডি হয়ে রওনা দিলাম। যাওয়ার আগে ঠিক করে ছিলাম সরাসরি বলব I love you……কিন্তু মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল ‘আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই’! সবার সামনেই বলে ফেললাম...! সবাই আমার কথা শুনে হেসে উঠল...আমার মেজাজ আরও গরম হয়ে গেল... তারপর একজন বলল, ‘এই কথাটা বলতে এতদিন লাগল’ ? আমি তো অবাক... ওরা জানে কিভাবে যে মিতা কে পছন্দ করি...!

~~~~ আসলে মিতার বিয়ে ঠিক হয়নি... আমাকে দিয়ে প্রপজ করানোর জন্যই ওদের এই নাটক...! কে জানে নাটকটা না করলে হয়ত কোনদিনই বলতে পারতাম না...! ~~~~